আমরা সকলেই চাই দেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক জীবন ব্যবস্থা : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

  জাগো ডেস্ক:  বৃহস্পতিবার | ডিসেম্বর ২১, ২০২৩ | ১২:০০ এএম

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা চাই দেশে শান্তি, স্থিতিশীলতা, এবং গণতান্ত্রিক জীবন ব্যবস্থা। কারণ গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা থাকার ফলে দেশের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এটাকে আমরা ধরে রাখতে চাই।
মন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সিলেট নগরীর ১ নং ওয়ার্ডে শাহজালাল (র.) মাজার সংলগ্ন এলাকায় লিফলেট বিতরনের মাধ্যমে সিলেট-১ আসনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হিসেবে প্রচারাভিযান শুরু করেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন। 
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, রাজনীতি তো মানুষের জন্য, রাজনীতি দেশের জন্য, রাজনীতি মানুষ ধ্বংস করে হয় না, রাজনীতি মানে বাস-ট্রাক-রেলওয়ে জ্বালানো না। তাদের (বিএনপি)'র পথটা ঠিক না। তাদের নেতৃত্বের পরিপক্বতার অভাব রয়েছে, বিএনপির নেতৃত্ব দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে একটি বড় সুযোগ হারিয়েছে। 
বিএনপির ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, না, এগুলো কোনো কাজে দেবে না। ওরা ভুল করেছে। এখন নিজেরা পস্তাচ্ছে। তাদের নির্বাচনে আসা উচিত ছিল, আসেনি। এখন তাদের নেতৃত্ব বজায় রাখার জন্য এগুলো করছে।
তিনি আসন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং সংঘাতবিহীন নির্বাচন চাই। পৃথিবীকে আমরা আদর্শ নির্বাচন দেখাতে চাই। আব্দুল মোমেন বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু, উৎসবমুখর নির্বাচনের জন্য ভোটাররা নিজের পছন্দ মতো প্রার্থীকে ভোট দেবেন আমরা সেটা চাই। 
মন্ত্রী বলেন, আমরা সেই দেশ, যে দেশে গণতন্ত্রের জন্য, ন্যায়বিচারের জন্য ৩০ লাখ লোক প্রাণ দিয়েছে, পৃথিবীতে  আর কোথাও এত লোক এভাবে প্রাণ দেয়নি।
বাংলাদেশের পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে সরকারকে চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বৈশ্বিক ক্রেতাদের সংগঠন আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার-কে (এএএফএ) চিঠি দিয়েছেন দেশটির ৮ কংগ্রেসম্যান। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি কংগ্রেসম্যানদের ধন্যবাদ দেই। তারা একটা কাজ করতে পারে। আমাদের শ্রমিকের (ন্যূনতম) বেতন ৮ হাজার টাকা ছিল, প্রধানমন্ত্রী ৫৬ শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ১২ হাজার করেছেন। ওরা (মার্কিন কংগ্রেসম্যান) প্রায় তিন গুণ বাড়াতে চাচ্ছে। ৮ হাজার থেকে ২৩ হাজার করতে চাচ্ছে। নিউইয়র্কে প্রতিঘণ্টায় শ্রমিকের মজুরি ১৫ ডলার। তারা যদি তাদের মজুরি ঘণ্টায় ৪৫ ডলার করে তাহলে তারা আমাদের লোকদের বেশি পয়সা দিতে পারবে। তারা যদি আমাদের লোকদের বেশি পয়সা দেয় আমরা খুব খুশি। এতে তাদের লোকদেরও তো ইনকাম দরকার। তাহলে ওদের তিনগুণ বাড়াক। ১৫ থেকে ৪৫ করুক। আমরাও তখন তাদের পথ অবলম্বন করব বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। 
নির্বাচনের আগে তিনি ভোটারদের কী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে বিগত দিনে ব্যাপক উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার ফলেই দেশের মান ইজ্জত অনেক বেড়েছে। তাই আমরা আমাদের দেশে আগামীতেও সেই উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে চাই। এজন্য আসন্ন নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করতে জনগণের প্রতি আহবান জানান ড. এ কে মোমেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফয়জুর রহমান আলোয়ার, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ,  সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আরমান আহমদ শিপলু, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সৈয়দ এফতার হোসেন পিয়ার, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট সালমা সুলতানা, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি আনোয়ার সাদাত, মহিলা শ্রমিক লীগের সভানেত্রী নাজমা খানম, শফিউল আলম জুয়েল সহ আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী।

সূত্র: বাসস