সিলেটে একই পরিবারের ৩ জনকে গলাকেটে হত্যা : ক্লু বের করার চেষ্টা পুলিশের

  সিলেট সংবাদদাতা   বুধবার | জুন ১৬, ২০২১ | ০৫:৫২ পিএম

সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় একই পরিবারের তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হিফজুর রহমানকে উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে খবর পেয়ে বুধবার সকালে পুলিশ লাশ তিনটি উদ্ধার করে ও আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে পাঠায়। গোয়াইনঘাট উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়নের বিন্নাকান্দি গ্রামে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদেন্তর জন্য সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ জুন) সকালে পুলিশ মা ও দুই শিশু সন্তানসহ তিন জনের লাশ উদ্ধার করে। 

এ ঘটনার খবর পাওয়ার পর পরই সিলেটের ডিআইজিসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এদিকে এ ঘটনার ক্লু বের করতে পুলিশের একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ ধারণা করছে সোমবার দিবাগত রাতের কোনও এক সময় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।

জানা যায়, গোয়াইনঘাটের ফতেহপুর বিন্নাকান্দি দক্ষিণপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন বিন্নাকান্দি দক্ষিণপাড়া গ্রামের বাসিন্দা হিফজুর রহমানের স্ত্রী আলেয়া বেগম (২৭), ছেলে মিজান আহমদ (১১) ও মেয়ে তানিসা (৫)।

পুলিশ জানায় এ ঘটনার পর হিফজুরের মামা ও কয়েকজন আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তারা ধারণা করছে জায়গা সংক্রান্ত ও পারিবারিক বিরোধ জেরে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। 

এ বিষয়ে সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম বলেন, পুলিশ কয়েকটি বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে রয়েছে জমি সংক্রান্ত ও পারিবারিক বিরোধ। সেই সাথে হিফজুর পুলিশের পাহারায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার জ্ঞান ফিরেনি। জ্ঞান ফিরার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। হামলাকারীরা শিশু দুটি গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে। হিফজুরের শরীরের একাধিকস্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।

এ ব্যাপারে সিলেটের ডিআইজি মফিজ উদ্দিন বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই আমরা ছুটে আসি। বিষয়টি এখনো পুরপুরি বুঝা যাচ্ছে না। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশের একাধিক ইউনিট কাজ করে যাচ্ছে। কয়েকটি বিষয় মাথায় নিয়ে পুলিশ কাজ করছে। হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে পারবো বলে আমরা আশাবাদী।

তিনি আরো জানান, ভিকটিম হিফজুর যে ঘরে থাকতেন ওই ঘরটি তার মায়ের পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে প্রাপ্ত। আর পাশের আরও দুটি ঘরে তার মামারা থাকতেন। হিফজুর দিনমজুরের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তাদের মামাসহ আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক কিংবা গ্রেফতার করেনি পুলিশ।