শুধু পরীমনি কেন, যেকোনো নারী যদি অনৈতিকতার শিকার হয় অবশ্যই এর সুষ্ঠু বিচার চাই। কিন্তু ঘটনা প্রবাহ দেখে মনে হচ্ছে এখানে কোথাও কারো মধ্যে কোনো ঘাপলা আছে। গড্ডলিকা প্রবাহে গা না ভাসিয়ে, কারো চরিত্র হনন না করে আসল ঘটনা খুঁজে বের করা দরকার। ঘাপলাটা কোথায় এবং করলো কে।
নাসির উদ্দিন মাহমুদের কিংবা পরিমনির চরিত্রের সার্টিফিকেট দেয়া নেয়া আমার কাজ না। আমরা যদি এই দুইজনের আশেপাশের সহকর্মীদের কাছে ওদের অতীত রেকর্ড সম্পর্কে একটু খোঁজ খবর নেই তাহলে তাদের চারিত্রিক গুণাবলী সম্পর্কে অনেক ধারণা পাওয়া যাবে। কে কোন মহলের বাসিন্দা। কার অতীত ইতিহাস কি বলে। আমজনতা না পারলেও সাংবাদিকদের জন্য খোঁজ খবর নেয়া খুব সহজ কাজ।
একটি গোষ্ঠী নাসির উদ্দিন মাহমুদের বন্ধু হিসাবে পৃথিবীতে একজনকেই পেলেন, তিনি হলেন পুলিশের আইজিপি বেনজির আহমেদ। আরে ভাই, কারো সাথে ছবি থাকতেই পারে, বন্ধু হতেই পারে, আরও অনেকেরই ছবি থাকবে - এর মানে কি বেনজির সাহেব ওনাকে বলে দিয়েছেন নায়িকার সাথে খারাপ ব্যবহার করার জন্য ? নাসির মাহমুদ প্রায় ত্রিশ বছর সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ সাহেবের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এই লোকের সাথে দেশের অনেক বিখ্যাত মানুষেরই দেখলাম ছবি আছে। তাহলে কি সবাই দায়ী।
পত্রিকার সংবাদ দেখে দুইটা বিষয় আমার কাছে এখনো খটকা লাগছে। প্রথমত: যেখানে যাচ্ছিলেন, বন্ধুর সেই অসুস্থ মা’কে দেখতে না গিয়ে আরেকজনের কথায় পরিমনি কেন মধ্যরাতে আশুলিয়াতে বোট ক্লাবে গেলেন ? যদিও যাওয়া কোন অপরাধ না। আর নাসির মাহমুদ এতবড় অভিযোগের পরও কেন এখনো চুপচাপ আছেন। কেন তিনি কথা বলছেন না ? আর এই সুযোগে হুজুগে জাতি বেনজির আহমেদের চরিত্র হনন করেই যাচ্ছে।
তবে, পরিমনি অনেক ভাগ্যবতী, দেশের আইজিপির সাথে সরাসরি ফোনে কথা বলার সুযোগ ওনার রয়েছে।
ফেইসবুক থেকে সংগৃহীত।