আগামী ২১ শে জুন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ফের তোড়জোড় শুরু করেছেন তালা উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। জমজমাট হতে চলেছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা।প্রচার-প্রচারণাকে কাজে লাগিয়ে তালা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার জাকির ও তার বাহিনী দ্বারা বিভিন্ন প্রকারের হুমকি-ধামকি প্রদর্শন করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানা যায়, স্থগিত থাকা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ২১ শে জুন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের তারিখ ঘোষনা করার পরপরই চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার জাকিরের পোষ্য বাহিনীর সদস্য বিশ্ব নাথ শীল হুমকি দিয়ে আটারই গ্রামের শিবপদ দাসকে বলেন, গোপালগঞ্জের ডিসি আমাদের লোক তাকে দিয়ে সবকিছু আমরা করে নেব। আর ভোট নৌকায় না দিলে তোমাদের দুর্ভোগ আছে।
এদিকে আটারই গ্রামের চারুদাসের পুত্র মিলন দাসকে হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়ার হুমকি প্রদর্শন করেন আওয়ামী লীগ নেতা সাহাবুদ্দিন।সাহাবুদ্দিন আরো বলে, নৌকা ভোট না দিলে কেউ ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। ভোট কেন্দ্র গেলে তাদের হীতেবিপরীত হবে।
এমনই জীবনাশের হুমকি সহ নানান রকম হুমকি-ধামকিতে ভীত সন্তুষ্ঠ হয়েছে পড়েছেন সাধারণ ভোটাররা। বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানে সহ তার পোষ্য বাহিনীর এমন বক্তব্য সাধারণ মানুষের কাছে দলের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুন্ন করেছে।’
শুক্রবার (৪ জুন) চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার জাকির আটারই দাস পাড়ায় প্রকাশ্য হুমকি দিয়ে বলেন,গোপালগঞ্জের ডিসি আমাদের লোক নৌকায় ভোট না দিলে কেটে টুকরো টুকরো করে নদীতে ফেলে দেওয়া হবে। মামলা দিয়ে সারাজীবন জেল খাটানো হবে। নৌকার লোক ছাড়া ভোটের দিন কোন ব্যক্তি ভোট কেন্দ্র যাবেন না। আমরা ভোট কেটে নিয়ে পুনরায় চেয়ারম্যান হব।
সংবাদ প্রকাশের স্বার্থে অভিযোগের বিষয়ে সরজমিনে তদন্তে করলে এলাকাবাসি বলেন, আমরা মহাবিপদে আছি এই ভোট নিয়ে। সরকারি দলের এই হাইব্রিড নামধারী নেতা সরদার জাকির ও তার পোষ্য বাহিনী দ্বারা জীবননাশ সহ নানান রকমের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। আমরা দাস সম্প্রদায়ের লোকেরা ভীতের মধ্য দিনাতিপাত করছি।এমনকি সরদার জাকির প্রকাশ্য বলেছে, লাঙ্গল মার্কায় কে কে ভোট দিবে তাদের আমি দেখে নেব।
অভিযোগেরে বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান সাংবাদিক এসএম নজরুল ইসলাম বলেন, আমি গত পিরিয়ড চেয়ারম্যান ছিলাম। এই পিরিয়ড চেয়ারম্যান তিনি। আমার পক্ষের কর্মী সর্মাথক থাকবে এটা স্বাভাবিক। আমার কর্মীদের ভোট কেন্দ্র না যেতে দেওয়া, হাত-পা ভেঙ্গে দেওয়া, গোপালগঞ্জের ডিসি আমাদের লোক নৌকায় ভোট না দিলে কেটে টুকরো টুকরো করে নদীতে ফেলে দেওয়া হুমকি প্রদর্শন করছেন সরদার জাকির ও তার পোষ্য বাহিনীর সদস্য সাহাবুদ্দিন, বিশ্¦ শীল সহ অনেক সদস্যরা। আমার কর্মী সর্মাথকদের নানান রকমের হুমকি ধামকি দেওয়া নির্বাচনের আচারণ বিধি লঙ্ঘন বলে মনে করছি এবং সংশ্লিষ্ট প্রসাশনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এবিষয়ে গোপালগঞ্জের জেলা প্রসাশক(ডিসি) সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ভোট হবে সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলায় ! সেখানে গোপালগঞ্জের ডিসি কি করবে? আমি বিষষটি সম্পর্কে জ্ঞাত চিলাম না,বিষয়টি দেখছি।
অভিযোগের বিষয়টি চেয়ারম্যান প্রার্থী সরদার জাকিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি।