সন্ধ্যার পর রাজধানীতে দুই বাসে আগুন

বিএনপি ও জামায়াতের ডাকা তিন দিনের অবরোধের দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যার পর রাজধানীর শ্যামলীতে এবং বারিধারায় দুটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের সরকারি কমিশনার (ট্রাফিক মোহাম্মদপুর) মোহাম্মদ ইমরুল জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে শ্যামলী সিনেমা হলের সামনে গাবতলীগামী একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়।
“ওয়েলকাম পরিবহনের ওই বাসে যাত্রীবেশে ওঠা দুষ্কৃতকারীরা আগুন লাগিয়ে নেমে যায়। আমরা সবার সহযোগিতায় আগুন নেভাতে সক্ষম হই। কেউ হতাহত হয়নি। বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেয়েছে।”
যারা আগুন দিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করা যায়নি বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

মোহাম্মদপুর থানার ওসি মাহাফুজুল হক ভুঞা বলেন, “দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। সিসিটিভির ভিডিও দেখে তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।”

ফায়ার সার্ভিস নিয়ন্ত্রণ কক্ষের এক কর্মকর্তা জানান, সন্ধ্যা ৭টার কিছু পরে বারিধারা এলাকায় বৈশাখী পরিবহনের আরেকটি বাসে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সেখানে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশের গুলশান বিভাগের বাড্ডা জোনের সহকারী কমিশনার রাজন কুমার সাহা  বলেন, বারিধারা কোকাকোলা এলাকায় বাসটি যাত্রী নামিয়ে ইউটার্ন নেওয়ার সময় দুই মটরসাইকেলে আসা পাঁচজন বাসের পেছন দিক পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে পালিয়ে যায়। “তাদের সকলের মাথায় হেলমেট এবং কালো কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকা ছিল। অপরাধীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।”

গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ ঘিরে কাকরাইলে সংঘর্ষের পর থেকে ভাঙচুর ও বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। সমাবেশের পরদিন বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতালেও এমন সহিংসতায় প্রাণহানি হয়েছে।

অবরোধের প্রথম দিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৬টি আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। অবরোধের দ্বিতীয় দিন বুধবারও ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় যানবাহন পোড়ানো হয়েছে।

অবরোধের মধ্যেই বাস চলাচলের ঘোষণা রয়েছে পরিবহন সমিতির পক্ষ থেকে। তবে যাত্রী কম ও সহিংসতার শঙ্কায় রাজধানীর বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল করছে আগের চেয়ে কম। সূত্র: বিডি নিউজ২৪