উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জের একটি কেন্দ্রে ভোট শুরুর আগেই গোপনে ব্যালট পেপারে সিল মারার অভিযোগে একজন প্রিজাইডিং অফিসার ও দুজন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে আটক করা হয়েছে। সদর উপজেলায় পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের মাহমুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রাত দুইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ফিরোজ মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পছন্দের প্রার্থীর ব্যালট পেপারে রাতে গোপনে সিল মারা হচ্ছে, এমন অভিযোগ পেয়ে, সদর উপজেলা রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন ও নির্বাহী হাকিম মো. রহমত উল্লাহ ফোর্স নিয়ে সেখানে অভিযান চালান। ওই কেন্দ্রের একটি কক্ষে দু’একটি ব্যালট পেপার পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর প্রিজাইডিং অফিসার আনোয়ার হোসেন এবং সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল আলিম ও বেলাল হোসেনসহ আট জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসের আনা হয়। আটকের পর প্রিজাইডিং অফিসার আনোয়ার হোসেন নিজেকে নিরাপরাধ দাবি করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে অফিসার ও তার দু’জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে আটকের নির্দেশ দেওয়া হয়। বাকিদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
এদিকে, জেলা নির্বাচন অফিসার আবুল হোসেন এবং সদর উপজেলা রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ঘটনার বিষয়ে অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও ভোটের অনিয়ম বলে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রাথমিক বিবৃতি দেন। তবে তদন্ত শেষে জেলা নির্বাচন অফিসার রবিবার দুপুরে জানান, গোপনে সিল মারার অপরাধে প্রিজাইডিং অফিসার ও তার দু’জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। তবে, কোনও প্রার্থীর কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে তারা এ কাজ করেছে কিনা তা পরিষ্কার করেননি এই কর্মকর্তা।
সদর উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফিরোজ মাহমুদ বলেন, ‘রাতের বেলা ভোট কেন্দ্রে অনিয়মের কারণে ওই কেন্দ্রটির ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।’