এমন উইকেটে টস জেতা নিউজিল্যান্ডেরতো পোয়াবারো। কিউইদের একাদশে আবার পাঁচ গতিযন্ত্র। তবু শুরুটা যে মনমতো হলো না নিউজিল্যান্ডের। তামিম ইকবাল আর সাদমান ইসলাম যে স্বাচ্ছন্দ্যে কাটিয়ে দিলেন পানি পানের বিরতির আগ পর্যন্ত।
বল ঠিকঠাক ব্যাটে আসছে। আচমকা লাফিয়ে উঠছে না মোটেও। বলের ল্যান্থও চেনা-পরিচিত; যে ল্যান্থে খেলে আমাদের ব্যাটসম্যানেরা অভ্যস্ত। উইকেটের এমন বেরসিক আচরণে নিউজিল্যান্ড অধিনায়কের কপালে চিন্তার ভাঁজ। হলো কী! তাহলে টসের পর যে বলে আসলেন, ‘এমন উইকেটে টস জিতে যে কেউই ফিল্ডিং নিতে চাইবেন।’ দুর্দান্ত শুরু করা বাংলাদেশ ওপেনিং জুটিতে তুলে ফেলল ৭৫ রান।
বিপত্তিটা বাধে পানি পানের বিরতির পরপর। ডি গ্রান্ডহোমের বল ঠিকমতো খেলতে পারেননি তামিমকে সঙ্গ দেওয়া তরুণ ওপেনার সাদমান। তাঁর ব্যাটের কানায় লেগে প্রথম স্লিপে থাকা রস টেলরের কাছে। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে সাদমানের ব্যাট ছুঁয়ে আসা বল সহজেই তালুবন্দী করেন টেলর। এরপর মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে খানিকটা খোলসে ঢুকে পড়েন তামিম। শুরুতে কিছুটা অস্বস্তি নিয়ে খেলতে থাকা মুমিনুলও উইকেটে থিতু হতে সময় নেন। কিন্তু মধ্যাহ্নভোজে যাওয়ার আগে নিল ওয়েগনারের জোড়া আঘাতে বাংলাদেশের ব্যাটিংও নীল হয়ে যায়। ১১৯ রানের মাথায় মুমিনুলকে ফেরান ওয়েগনার।
এরপর ১২৭ রানে মোহাম্মদ মিঠুনকেও ফেরান নিউজিল্যান্ডের এই পেসার। ১২৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে মধ্যাহ্নভোজে যায় বাংলাদেশ। ততক্ষণে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২৭তম অর্ধশতক করে ফেলেছেন তামিম ইকবাল। ব্যক্তিগত ৭২ রান করে মধ্যাহ্নভোজে যাওয়া তামিম বিরতির পরেই ফিরে যান। তামিমের শিকারিও সেই ওয়েগনার। ১৩৪ রানের মাথায় তামিম আউট হওয়ার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারলেন না সৌম্য-মাহমুদউল্লাহও। ১৫২ রানের মাথায় হেনরির বলে সৌম্য ক্যাচ দিয়ে ফেরার পর মাহমুদউল্লাহ ফিরে যান ১৬৮ রানে। বাংলাদেশের অধিনায়কের উইকেটটিও গেছে ওয়েগনারের ঝুলিতে।