সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, এ পৃথিবীতে বঞ্চিত, অবহেলিত ও দুঃস্থ মানুষের কল্যাণে কিছু করার তাগিদ অনুভব করা মানুষের সংখ্যা অনেক কম। ফরিদপুরে জন্ম নেয়া কাজী মাহবুবউল্লাহ তেমনই একজন বিরল মানুষ। তিনি ছিলেন অত্যন্ত জনদরদী। আমার রাজনীতিতে আসাসহ বর্তমান অবস্থানে আসার পেছনে তারই সুযোগ্যপুত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্লাহর অবদান রয়েছে।
শনিবার সকালে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে বেগম জেবুন্নেছা ও কাজী মাহবুবউল্লাহ জনকল্যাণ ট্রাস্ট আয়োজিত “কাজী মাহবুবউল্লাহ পুরস্কার ২০১৭ ও ২০১৮ (২৯তম পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান)” বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং বেগম জেবুন্নেছা ও কাজী মাহবুবউল্লাহ জনকল্যাণ ট্রাস্টের বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য ড. ইকবাল মাহমুদ।
স্বাগত ভাষণ ও ট্রাস্টের প্রতিবেদন পাঠ করেন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান জোবায়দা মাহবুব লতিফ। পুরস্কারপ্রাপ্ত গুণীজনদের পক্ষে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ফাহিম হোসেন চৌধুরী এবং বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সমাজসেবক সৈয়দ হাসান ইমাম।
উল্লেখ্য, কাজী মাহবুবউল্লাহ পুরস্কার ২০১৭ পেয়েছেন যথাক্রমে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের জন্য প্রয়াত বিশিষ্ট সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার, সঙ্গীতে বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী ফাহিম হোসেন চৌধুরী ও আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী।
অন্যদিকে কাজী মাহবুবউল্লাহ পুরস্কার ২০১৮ পেয়েছেন যথাক্রমে সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধে আইসিডিডিআরবির পরিচালক ফেরদৌসী কাদরী, খেলাধুলায় বিশেষ অবদানের জন্য বিশিষ্ট মহিলা দাবাড়ু রানি হামিদ এবং আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম।