রাজধানীর গুলশানের কালাচাঁদপুরে র্যাবের হাতে গ্রেফতার গৃহকর্তা ইউসুফ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গৃহকর্মীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। র্যাব জানায়, পারিবারিক জীবনে তিনি দুই স্ত্রী ও ৩ কন্যা সন্তানের বাবা। উভয় স্ত্রীর সঙ্গে তার সম্পর্ক রয়েছে। এরপরও দ্বিতীয় স্ত্রীর গৃহকর্মীকে একা পেয়ে তাকে ধর্ষণ করেন ইউসুফ।
বৃহস্পতিবার র্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে রাজধানীর কাপ্তানবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ইউসুফকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, ইউসুফের দ্বিতীয় স্ত্রী খুশি দিব্রা (৪০) সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের একজন কর্মকর্তার বাসায় হাউজকিপার হিসেবে কাজ করেন। ধর্ষণের শিকার তরুণী ২ হাজার টাকার বিনিময়ে সে বাসায় কাজ করতো। একই ঘরের মেঝেতে ঘুমাত গৃহকর্মী তরুণী। বুধবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইউসুফের স্ত্রী কাজের জন্য বের হয়ে গেলে ইউসুফ তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
র্যাব জানায়, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলে ওই তরুণী খাটের ওপর দীর্ঘক্ষণ অচেতন হয়ে পড়ে ছিল। এতে ইউসুফ ভয় পেয়ে যান এবং দ্বিতীয় স্ত্রী খুশিকে ফোন দিয়ে বলেন, ‘গৃহকর্মী তরুণী অসুস্থ। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।’ খুশি বিষয়টি ওই তরুণীর চাচাতো বোনকে জানান। এরপর সকাল ৯টায় তরুণীর চাচাতো বোন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে নতুন বাজারের উপশম হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তরুণীর অবস্থা খারাপের দিকে যাওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়। সেখানে ওই তরুণী ধর্ষণের বিষয়টি সবার সামনে খুলে বলে। এরপর থেকেই ইউসুফকে ধরতে গোয়েন্দা নজরদারি চালায় র্যাব। পরে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইউসুফ জানিয়েছেন, তিনি বসুন্ধরা জিপি হাউজের আইটি টেকনিশিয়ান (মেকানিক) হিসেব দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে কর্মরত আছেন। তার দুই স্ত্রীর মধ্যে প্রথম স্ত্রীর ৩টি কন্যা সন্তান রয়েছে। তারা উত্তর বাড্ডা এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তার দ্বিতীয় স্ত্রী গুলশানের কালাচাঁদপুর এলাকায় ভাড়া থাকেন। তিনি বেশিরভাগ সময় প্রথম স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে থাকতেন। মাঝে মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রীর কাছে যেতেন।