বিপিএলের লিগ পর্বের শেষ ভাগে এসে প্রতিটি ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এখন একটি ম্যাচ হারলেই কোয়ালিফাইং পর্বে ওঠার স্বপ্ন শেষ হয়ে যেতে পারে। সাত ম্যাচে খুলনা টাইটানসের জয় মাত্র একটি। অনেকেই তাদের শেষ চারের সম্ভাবনার শেষ দেখে ফেলেছে। তবে কাগজ-কলমে খুলনার আশা এখনও শেষ হয়নি। এজন্য তাদের শেষ পাঁচ ম্যাচই জিততে হবে।
আজ দিনের প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ রংপুর রাইডার্স। হারলে খুলনার বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যাবে। ভালো অবস্থায় নেই মাশরাফি মুর্তজার রংপুরও। হারলে চাপে পড়ে যাবে তারাও। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ঢাকা ডায়নামাইটসের প্রতিপক্ষ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
সিলেটে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ১৯৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছে রংপুর। এবি ডি ভিলিয়ার্স দলের সঙ্গে যোগ দেয়ায় ব্যাটিং শক্তিও বেড়েছে। তবুও তারা ক্রিস গেইলের জেগে ওঠার অপেক্ষায়। এই ক্যারিবীয় ব্যাটিংদানব এখনও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। গেইল জ্বলে উঠলে মাশরাফির জন্যও কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
খুলনা সিলেটে নিজেদের সর্বশেষ ম্যাচে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে বড় স্কোর করলেও ২১৫ রান তাড়ায় পেরে ওঠেনি। তবু তারা ১৮৮ রান তুলে ফেলে। খুলনায় লাসিথ মালিঙ্গা যোগ দিলেও এখনও কোনো চমক দেখাতে পারেননি। দলের বাজে অবস্থায় সোমবার বিশ্রামে কাটিয়েছে তারা।
এদিকে কুমিল্লা কাল হেরেছে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে। দু’দলের প্রথম মুখোমুখিতে কুমিল্লা জিতলেও এবার প্রতিশোধ নিয়েছে রাজশাহী। দু’দলেরই এখন সাত ম্যাচে সমান চারটি করে জয়। হেরে কুমিল্লাও এখন স্বস্তিতে নেই।
হারের পর কুমিল্লার শামসুর রহমান বলেন, ‘দুর্ভাগ্য আজ (সোমবার) আমরা ভালো খেলতে পারিনি। তবে অবশ্যই রাজশাহী ভালো খেলেছে। যেভাবে শুরু করেছিলাম সেই পরিকল্পনামতো আমরা শেষ করতে পারিনি। তবে ১৭৬ রান টপকানোর মতোই ছিল। এখান থেকে আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে।’
একনজরে ম্যাচের একাদশ-
খুলনা টাইটান্স: পল স্টার্লিং, জুনায়েদ সিদ্দিকী, আল-আমিন, ব্রেন্ডন টেলর, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (অধিনায়ক), আরিফুল হক, ডেভিড উইজ, তাইজুল ইসলাম, শরীফুল ইসলাম, লাসিথ মালিঙ্গা, শুভাশীষ রায়।
রংপুর রাইডার্স: ক্রিস গেইল, অ্যালেক্স হেলস, রাইলি রুশো, এবি ডি ভিলিয়ার্স, মোহাম্মদ মিঠুন, নাহিদুল ইসলাম, মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), ফরহাদ রেজা, নাজমুল ইসলাম অপু, শফিউল ইসলাম, সোহাগ গাজী।