দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ১৩০ টাকা চুরির সন্দেহে শাকিল (১০) নামের এক মাদ্রাসার শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে হাবিব উদ্দিন (৪০) নামের এক মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের দেবীপুর হাফেজিয়া মাদ্রাসায় এই ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থী শাকিল উপজেলার শিবনগর ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের মহিবুর রহমানের ছেলে এবং ওই মাদ্রাসার নাজরা শ্রেণির (আক্ষরিক জ্ঞানদান শ্রেণি) ছাত্র। শিশুটি বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই মাদ্রাসার শিক্ষক হাবিব উদ্দিন পলাতক রয়েছেন।
আহত শিশু শাকিল জানায়, মাদ্রাসার শিক্ষক হাবিব উদ্দিনের ১৩০টাকা চুরি হয়। টাকা চুরির ঘটনায় ওই শিক্ষক তাকে সন্দেহ করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। চুরির ঘটনা অস্বীকার করায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিক্ষক সন্ধ্যা ৭টায় মাদ্রাসার একটি কক্ষের দরজা-জানালা বন্ধ করে বেত ও লাঠি দিয়ে বেদম প্রহার করেন। এক পর্যায়ে সেখান থেকে কৌশলে নানার বাড়িতে পালিয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। আঘাতের কারণে সারা শরীরে ব্যথাসহ জ্বর হয়েছে ।
এর আগেও সামান্য ভুল-ত্রুটিতেই ছাত্রদেরকে বেদম প্রহারসহ বিভিন্ন প্রকার শাস্তি দেওয়ায় অনেক শিশু মাদ্রাসা ছেড়ে চলে গেছে বলে জানায় শাকিল।
শাকিলের নানা ছাবেদুল ইসলাম বলেন, ‘শাকিলের মা মারা যাওয়ায় তার পিতা অন্যত্র বিয়ে করে চলে গেছে। ফলে সে এতিম হিসেবে ওই মাদ্রাসায় থাকা-খাওয়াসহ লেখাপড়া চালিয়ে আসছে। হাবিব উদ্দিন শিক্ষক নয়, সে একজন কশাই। কশাই না হলে একজন শিশুকে এভাবে পেটাতে পারে না।’
ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ চৌধুরী বিপ্লব বলেন, ‘বিষয়টি মেনে নেওয়ার মতো নয়। অবশ্যই ওই শিক্ষককে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসিম হাবীব বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে আটকের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু সে পলাতক থাকায় তাকে আটক করা যায়নি।’