রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ১১ কেজি স্বর্ণসহ আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। যার বাজারমূল্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-২।
বুধবার দুপুরে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-২ এর অধিনায়ক আনোয়ার উজ জামান বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের পাঁচ সদস্যকে ঈগল পরিবহনের সামনে থেকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, মো. রেজাউল (৩৫), মো. ওলিয়ার (৫০), মো. ওলিয়ার রহমান (৩০), মো. ওহিদুল ইসলাম (৩৪) এবং মো. বিল্লাল (৩৫)।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, এই চক্রের মূল হোতা হিসেবে কাজ করেন ওলিয়ার রহমান ও রেজাউল। তারা সম্পর্কে শ্যালক-দুলাভাই। দীর্ঘ ছয়মাস ধরে তারা এই কাজ করে আসছিলেন। তাদের এই দলটি রাজধানী থেকে বেনাপোলে প্রত্যেক সপ্তাহে অন্তত দুটি চালান নিয়ে যেতেন। এজন্য প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা এবং পকেট খরচ ২ হাজার টাকা করে দেয়া হয়। জুতার মধ্যে থাকত ২০টি করে স্বর্ণের বার। এই চক্রের সাথে জড়িত গডফাদারদের চিহ্নিত করে এরই মধ্যে কাজ শুরুর কথা জানিয়েছে র্যাব।
র্যাব-২ অধিনায়ক বলেন, আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সাথে এদের যোগাযোগ রয়েছে। তবে এরা কেউই মূলহোতা না। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে স্বর্ণ দেশে এনে সেগুলো অভিনব পদ্ধতিতে ভারতে পাচার করা হয়। স্বর্ণগুলো পরীক্ষা করে দেখে গেছে সবগুলো ২৪ ক্যারেট করে আছে। উদ্ধার হওয়া স্বর্ণের মূল্য প্রায় ১৬ কোটি টাকা।