বঙ্গবন্ধুর দর্শন থেকে তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষা নিতে বলেছেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার সংসদ ভবনে জাতীয় সংসদ সচিবালয় আয়োজিত আলোচনা সভায় তরুণদের এ আহ্বান জানান তিনি।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দর্শন ছিল জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার মাধ্যমে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করা। ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধু আজন্ম লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন। অন্যায়ের কাছে তিনি কখনও মাথানত করেননি। বঙ্গবন্ধুর দর্শন থেকে তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষাগ্রহণ করতে হবে।’
স্পীকার বলেন ‘বঙ্গবন্ধু জেল-জুলুম ও অত্যাচার সহ্য করে বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। শেখ মুজিবের বঙ্গবন্ধু হওয়ার নেপথ্যের মূল কারিগর ছিলেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।’
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর এক অঙ্গুলি হেলনে জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে বাংলার আপামর জনতা রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙালি জাতি ছিনিয়ে এনেছিল স্বাধীনতার লাল-সবুজ পতাকা।’
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু তার মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে বাংলাদেশের সব উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন, কিন্তু ঘাতকরা তা বাস্তবায়ন করতে দেয়নি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, ইনডেমনিটির মতো কালো আইন করে ঘাতকদের রক্ষা করার চেষ্টা করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঘাতকদের বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হয়েছে।’
এ সময় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে স্বরচিত গান পরিবেশন করেন জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের গণসংযোগ শাখার পরিচালক মো. তারিক মাহমুদ এবং কবিতা আবৃত্তি করেন পরিচালক এসএম মঞ্জুর ও কাজী রোজী এমপি।
পরে জাতির পিতাসহ ১৫ আগস্টের সব শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া দোয়া পরিচালনা করেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, চিফ হুইপ, হুইপবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দোয়া মাহফিলে শরিক হন।