জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ১২ ভাদ্র। ১৩৮৩ বঙ্গাব্দের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (তদানীন্তন পিজি হাসপাতাল) শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ২৪ মে ভারত সরকারের অনুমতিক্রমে সপরিবারে কবি নজরুলকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। ‘জাতীয় কবি’র মর্যাদা দিয়ে বাংলাদেশে তার বসবাসের ব্যবস্থা করেন। বঙ্গবন্ধু ধানম-িতে কবির জন্য একটি বাড়ি প্রদান করেন।
বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা ও গান শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে
উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস।
জাতীয় কবি নজরুল ১৩০৬ সনের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাকনাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। তরা বাবা কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন। কবির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
আজ সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিতে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মধ্য দিয়ে দিবসটির কর্মসূচি পালন শুরু হবে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে কবির সমাধিতে জানানো হবে শ্রদ্ধা।
বাংলা একাডেমি দিবসটি উপলক্ষে দুদিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আজ সকালে কবির সামধিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন। ৩০ আগস্ট অনুষ্ঠিত হবে একক বক্তৃতা, আলোচনা ও সংগীতানুষ্ঠান। একক বক্তৃতায় অংশ নেবেন ভীষ্মদেব চৌধুরী। নজরুল সংগীত পরিবেশন করবেন ডালিয়া নওশীন। এ ছাড়া বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, শিশু একাডেমি, নজরুল একাডেমিসহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথক কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে।
বিটিভিসহ বেসরকারি চ্যানেলগুলো দিবসটিতে কবির ওপর নানা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করবে। জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলো কবির ওপর বিশেষ সংবাদ প্রকাশ করবে।