৪ আগস্ট নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ান অভিনেত্রী নওশাবা আহমেদ। ফেসবুক থেকে তিনি লাইভে বলেন, ‘জিগাতলায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। একজনের চোখ উঠিয়ে ফেলেছে এবং চার জনকে মেরে ফেলেছে।’
একই দিন তাকে গ্রেফতার করে এই উসকানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগে র্যাব-১ এর ডিএডি মোঃ আমিনুল ইসলাম উত্তরার পশ্চিম থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এরপর রিমান্ড, কারাগার, হাসপাতাল আর আদালতের চৌকাঠে কাটে প্রাণচঞ্চল অভিনেত্রী নওশাবার জীবন।
অবশেষে অনেক অনিশ্চয়তা পেরিয়ে নওশাবা আদালত থেকে জামিন পান ঈদের আগের দিন সন্ধ্যায় (২১ আগস্ট)।
জামিন পেয়ে পরিবার, স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে তিনি ঈদ উদযাপন করেন। তবে মিডিয়ার সঙ্গে এই বিষয়ে কোনও কথা বলেননি। এমনকি ফেসবুকেও নেই তিনি। তবে আজ দুপুরে (২৩ আগস্ট) নওশাবার মনের অবস্থা ও বর্তমান অনুভূতি ফেসবুকে তুলে ধরেছেন তার স্বামী এহসান রহমান জিয়া।
নওশাবার ঈদ শুভেচ্ছা এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন- শিরোনামের এই পোস্টের কথাগুলো এমন-
‘দেশের সবাইকে ঈদুল আজহার বিলম্বিত শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। আপনারা জানেন, আমাকে ঈদের আগের দিন বিকালে নিম্ন আদালত জামিন প্রদান করেছেন। এর মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীন বিচার বিভাগ তার মানবিকতার উজ্জ্বল এক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। আমি অভিভূত। আমার আইনজীবীদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতার শেষ নেই।’
স্বামী-সন্তানের সঙ্গে নওশাবাতার সন্তান প্রকৃতির কথা উল্লেখ করে নওশাবা আরও বলেন, ‘আমার একমাত্র কন্যা প্রকৃতির সাথে ঈদের আনন্দ পরিপূর্ণভাবে অনুভব করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানানোর উপযুক্ত ভাষা আমার জানা নেই। তিনি বাংলাদেশের ষোল কোটি মানুষের একজন পরীক্ষিত, প্রকৃত ও সুযোগ্য অভিভাবক। এই ভূমিকার বাইরেও তিনি যে একজন মমতাময়ী মা, তা আবারও আমি নিজে একজন মা হিসেবে হৃদয়ের অন্তঃস্থল থেকে বুঝতে পারলাম। নিকট অতীতেও রোহিঙ্গা ইস্যুতে তার মাতৃত্বসুলভ গুণাবলীর অনেক দৃষ্টান্ত তিনি রেখেছেন।’তিনি আরও বললেন, ‘পুলিশ, র্যাব, ডিবি, সাইবার ক্রাইম ইউনিট আর কাশিমপুর কারাগারে দায়িত্বরত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিটি সদস্য, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা– যারাই আমাকে অনেক প্রফেশনালিজম আর সহমর্মিতার সাথে প্রতিটি স্তরে হেফাজত করেছিলেন, তাদের প্রতিও আমার আকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা।’