পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের বিরুদ্ধে থানার ওসির স্ত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। রাজশাহী মহানগরীতে সোমবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত এসআই এর নাম মাসুদ রানা। তিনি বোয়ালিয়া থানায় কর্মরত।
সোমবার রাজশাহীর আরডিএ মার্কেটে এই কসমেটিকের দোকানে কেনাকাটা করছিলেন ওসির স্ত্রী। এসময় এসআই মাসুদ রানা তার গায়ের কাছ ঘেঁষে তাকে বিরক্ত করতে থাকেন। ওই নারী প্রতিবাদ করে বলেন, ‘আপনি বার বার আমার শরীর ঘেঁষে দাঁড়াচ্ছেন কেন? আমাকে বিরক্ত করছেন কেন?
জবাবে এসআই মাসুদ রানা বলেন, ‘এটা কি আপনার জায়গা নাকি? একপর্যায়ে ওই নারী তাকে বলেন, ‘আমাকে চেনেন, আমি কে? জবাবে এসআই মাসুদ রানা বলেন, ‘আমি পুলিশ আমার শরীরে লেখা আছে। আপনার শরীরে তো লেখা নাই।
ভুক্তভোগী নারী জেলা পুলিশের একটি থানার ওসির স্ত্রী। ওই নারীর দাবি, এসআই মাসুদ রানা তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছেন। এ নিয়ে তার পুলিশ কর্মকর্তা স্বামী বোয়ালিয়া থানার ওসির কাছে অভিযোগ করেছেন।
এরপর ওই নারী তার স্বামীর পরিচয় প্রকাশ করেন। সাথে সাথেই সেখান থেকে চলে যান মাসুদ রানা।
মাসুদ রানা বলেন, ‘কিছুটা সঠিক আছে, বিষয়টা নিয়ে আমি লজ্জিত, ব্যথিত। বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছি। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা আমাকে বকাঝকা করছেন। কিন্তু আমার ওই ধরনের মেন্টালিটি নাই। আমার স্ত্রী একটা ক্লিপ চেয়েছিল। তার আবদার পূরণ করতে চালককে গাড়িটা মার্কেটের সামনে দাঁড় করাতে বলি। তারপর মার্কেটে যাই। এর মধ্যেই এমন অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটে গেছে।’
ভুক্তভোগী নারীর পুলিশ কর্মকর্তা স্বামী বলেন, আমার স্ত্রী ঘটনাটি আমাকে জানানোর পর আমি সংশ্লিষ্ট থানার ওসিকে অবহিত করি। তবে আমি লিখিত কোনো অভিযোগ করব না। কারণ, আমিও পুলিশে চাকরি করি। এসব ঝামেলায় জড়াতে ভালো লাগে না।’
বোয়ালিয়া থানার ওসি আমান উল্লাহ বলেন, ভুক্তভোগী নারীর স্বামীর কাছ থেকে ঘটনাটি শুনে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।